Monday, November 10, 2014

বেদনা বৃত্ত

১।
বিষদাত আছে জেনেও
যেদিন বাস্তু সাপের মতো
আমাকেও দেবতা ভাবতে
পারবে -
সেদিন তোমার গৃহে প্রবেশ করবো।
নতুবা প্রতিনিয়ত কাউকে হত্যার
হুমকি হোয়ে বেচে থাকার
কি অর্থ আমি জানিনা।
কিন্তু বাস্তু সাপ যদি কাটে
আর মরে যাও
তবে জেনো সে
মৃত্যুর প্রয়োজন ছিলো খুব।
নতুবা মানুষকে ইদুর ভেবে
কোন বোকা চোদা সাপ কামড়ায়?

আর আমরাতো নিরীহ দড়িকেও সাপ ভেবে মুর্ছা যাই ।


২।
বেদনা যখন আমার
সহ্যসীমাকে অতিক্রম
করে যেতে চায়
তখন কি করি?
চোরের মতো
পালিয়ে পালিয়ে
বেচে থাকি
বেদনার চোখ
ফাকি দিয়ে,
এক প্রকার
না থাকার মতোই
খুব সাধারন বা
তারচেয়েও কম
এই বেচে থাকা।

বেদনা ও আমার এই চোর পুলিশ
খেলার অভ্যাস সেই শৈশব থেকেই।
আমার এইটুকু চোর আর
বেদনার ততটুকু পুলিশ হওয়ার
আসলেই প্রয়োজন ছিলো খুব

অনেকে আবার খুব সাধারন
এই বেচে থাকার কাছ থেকে
পালিয়ে বাচে অসাধারন কোনো
বেচে থাকার মোহে বহুমূল্যের
রত্নখচিত পালংক কিনে এনে
তাতে রাখে দেহ, আর তার ঘুম
আসে গিয়ে বেদনার কোলে
সারারাত হেটে হেটে ,
দুহাতে দ্বৈরথ ঘেটে ঘেটে ।

আমার চোর আর বেদনার
পুলিশ হয়ে পালিয়ে বাচার
প্রয়োজন ছিলো খুব।
একথা আমি ও বেদনা দুজনেই
ভালো করে জানি নতুবা আমাদের
দুজনের মধ্যে
যে কেউ অপরজনকে খুন
কোরে তারপর নিজদেহ
সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে দিতো।


৩ ।
বেচে থাকাটাই রীতি, জ্বালিয়ে বারুদ
স্মৃতি মানে গোপনীয় ঘুমের অষুধ
ঢেলে শিরায় শিরায় গড়া মৃত বুদ বুদ
শোধ করা মৃত দেহে জীবিতের সুদ।

মানবিক বয়েসের আনবিক ভার
দিকে দিকে বাড়ে গাছ উতকন্ঠা
যেখানে সেখানে বাড়ে উটকো পাহাড়
নিয়ে বুকে সাবধানী সতর্ক ঘন্টা

জানি গোল্ডফিশ বোলে কিছু নেই
কাচ যুগ পলাতক স্বচ্ছ্ব বরফে
আজো প্রত্ন তাড়িত কাচ বন্দী মাছেই
গুহার দেয়াল গড়ে প্রাচীন হরফে।


৪।
ধোয়ার সংকেতে লিখি বেদনা অপার
তবু মেঘের পরেই মেঘ, পুনুরাবৃত্তি
কাঠ আনতেই খড় শেষ বারবার
তবু কাঠখড় একসাথে পোড়ানোই রীতি
৫।
শহর ঘুমায় তার নাগরিক বুকে,
চকিদার হুইসেল, সাধু সাবধান
অন্ধবাতাসে কেউ শ্বাস ফেলে ধুকে
অসুখের সুখী মুখ করে সন্ধান

শিরায় শিরায় সুই, উদগ্রীব ধারা
লোহিত রক্তে মেশে বিস্মিত জল
চোখে হেলুসিনশন দেয় কড়া পাহারা
পাহাড়ে শহর যেনো হয়না বদল

হায়রোগ্লিফিক এই শহরের ভাষা
মাটির নীচে খুব বদলায় ধীরে
পূর্ন শরীর পেলে বাড়ে উচ্চাশা
মুখোশে আবৃত মুখ অন্যের শীরে

No comments:

Post a Comment