কয়েকশ বছর পর মা ছেলেকে গল্প শোনাবে- 'অনেক অনেক দিন আগে, যখন সবার নিজস্ব মিগ-২৯ ছিলো না, হেলিকপ্টারের বদলে রাস্তায় বাস চলতো, তখন এক ছেলে বনানী ফ্লাইওভারের গোড়া থেকে মতিঝিল রওনা দিলো।' ছেলেটির মুখ হা হয়ে যাবে তা শুনে! ভয়ে ঘুমিয়ে পড়বে।
বাবা ছেলেকে কুমিল্লাগামী একটি বাসে উঠিয়ে দিয়ে সে নিজে মতিঝিল থেকে বনানী যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিআরটিসির বাসে উঠলো। ছেলে কুমিল্লা গিয়ে হাতমুখ ধুয়ে ভাত খেয়ে ফোন দিলো, বাবা, আমি আইসা পড়ছি। তুমি কই? বাবা উত্তর দিলো, ইয়ে, র্যাংস ভবনের সামনে! জ্যামে!
আর কয়েকদিন পর সবাই বাসে টিফিন ক্যারিয়ারে ভাত নিয়ে উঠবে। নীচেরটায় ভাত, মাঝখানের টায় তরকারি, উপরের টায় পাতলা ডাল। ক্যারিয়া বেয়ে বেয়ে ডাল পড়ছে, উপরে লবন খবরের কাগজে মোড়ানো, একটা কাচা মরিচ। শাহবাগ এসে ভাত খাবে সবাই।
প্লেয়িংকার্ড নিয়ে উঠবে। জমজমাট কলব্রিজ টুয়েন্টিনাইন খেলা হবে। সামনে টিভি ফিট করে মুভি ছেড়ে দেয়া যায়। বিআরটিসির মহিলা বাসগুলোতে স্টার জলসা, প্লাস এবং জীবন মানেই জী বাংলা দেখানো হবে (নো অফেন্স!)। গ্রীন লাইনের সাথে কনট্যাক করে স্লিপিং বার্থ এর কয়েকটা ফিট করানো যেতে পারে।
অংক আসবে সৃজনশীল - বিআরটিসির বাসটি বনানীর উদ্দেশ্যে সন্ধ্যা ছয়টায় মতিঝিল থেকে রওনা দিলো। জ্যাম এড়ানোর জন্য সে ইস্কাটনের পাশের রোড দিয়ে ঢুকে বাংলামোটর দিয়ে বনানী পৌছুলো পৌনে নয়টায়। অপর দিকে 'ক' হেঁটে রওনা দিয়ে বনানী পৌছালো আটটায়। শক্তির ব্যয় হিসেব করো।
উত্তর- আমরা জানি, 'ক' হয় স্পাইডারম্যান , নাইলে সুপারম্যান। স্যালুট। আমরা আরও জানি, বিআরটিসির ড্রাইভারটি বুকাচুদা। মেইনরোড ছেড়ে প্যাচাগোচ দিয়ে এরাই ঢুকে।
জ্যাম যখন আরও ভয়াবহ হবে।
মাগরিবের আজানের সময় বাসে উঠা বাসার উদ্দেশ্যে-
হেলপার: স্যার উঠেন, বনানী আসছি।
যাত্রী: ওহ! এশার আজান দিতেছে মনে হয়... সময় মতই আসছি। রাস্তা ফাকা ছিলো?
হেলপার: না স্যার, ফযরের... রাস্তায় জ্যাম ছিলো
যাত্রী: ওহ, তাইলে আর আজ নামবো না, ঐ সাইড থেকে বাসে অফিসের দিকে যাই।
হেলপার: হ
যাত্রী: জোহরের আগে অফিসে যাইতে পারলে হয়
হেলপার: ফি আমানিল্লাহ
যাত্রী: ফি আমানিল্লাহ
যাত্রী: ওহ! এশার আজান দিতেছে মনে হয়... সময় মতই আসছি। রাস্তা ফাকা ছিলো?
হেলপার: না স্যার, ফযরের... রাস্তায় জ্যাম ছিলো
যাত্রী: ওহ, তাইলে আর আজ নামবো না, ঐ সাইড থেকে বাসে অফিসের দিকে যাই।
হেলপার: হ
যাত্রী: জোহরের আগে অফিসে যাইতে পারলে হয়
হেলপার: ফি আমানিল্লাহ
যাত্রী: ফি আমানিল্লাহ
যোগ্যতা বিচার হবে এটা দিয়ে-
মেয়ের বাবা: অফিস মতিঝিলে এখন?
ছেলে: হ্যা
মেয়ের বাবা: চাকরি করে আর কত....
ছেলে: চলে যায় আব্বা...
মেয়ের বাবা: হোয়াই আর ইউ কলিং মি আব্বা ?!!
ছেলে: সরি
মেয়ের বাবা: আগে মেয়েকে বিয়ে তো দেই! একটু ধৈর্য ধরো! পরে আব্বা ডাইকো!!!
ছেলে: সরি
মেয়ের বাবা: বাসা কোথায় তোমার ?
ছেলে: বনানী মেস করে থাকি...
মেয়ের বাবা: বনানী থেকে মতিঝিল আসো?
ছেলে: জ্বী
মেয়ের বাবা: বাসে?!
ছেলে: জ্বী বিআরটিসির টায় ওঠার চেষ্টা করি!
মেয়ের বাবা: কল মি আব্বা!
ছেলে: না মানে ইয়ে...
মেয়ের বাবা: যে বনানী থেকে মতিঝিল প্রতিদিন যাতায়াত করতে পারে, সে জীবনে সব করতে পারবে।
ছেলে: থ্যাংক ইউ!
মেয়ের বাবা: সে আব্বা!
ছেলে: আব্বা!
ছেলে: হ্যা
মেয়ের বাবা: চাকরি করে আর কত....
ছেলে: চলে যায় আব্বা...
মেয়ের বাবা: হোয়াই আর ইউ কলিং মি আব্বা ?!!
ছেলে: সরি
মেয়ের বাবা: আগে মেয়েকে বিয়ে তো দেই! একটু ধৈর্য ধরো! পরে আব্বা ডাইকো!!!
ছেলে: সরি
মেয়ের বাবা: বাসা কোথায় তোমার ?
ছেলে: বনানী মেস করে থাকি...
মেয়ের বাবা: বনানী থেকে মতিঝিল আসো?
ছেলে: জ্বী
মেয়ের বাবা: বাসে?!
ছেলে: জ্বী বিআরটিসির টায় ওঠার চেষ্টা করি!
মেয়ের বাবা: কল মি আব্বা!
ছেলে: না মানে ইয়ে...
মেয়ের বাবা: যে বনানী থেকে মতিঝিল প্রতিদিন যাতায়াত করতে পারে, সে জীবনে সব করতে পারবে।
ছেলে: থ্যাংক ইউ!
মেয়ের বাবা: সে আব্বা!
ছেলে: আব্বা!
বাসা থেকে ফোন আসবে-
মা: বাবা কুদ্দুস?
কুদ্দুস: জ্বী?
মা: তোর ছেলে হয়েছে!
কুদ্দুস: আলহামদুলিল্লাহ! আমি এখনই আসছি।
কুদ্দুস: জ্বী?
মা: তোর ছেলে হয়েছে!
কুদ্দুস: আলহামদুলিল্লাহ! আমি এখনই আসছি।
অফিস থেকে রওনা দেয়ার পর- রুট মতিঝিল- বনানী
কুদ্দুস: কই, আমার ছেলে কোথায়?
মা: তোর ছেলে স্কুলে গেছে, একটু পরেই চলে আসবে।
কুদ্দুস: অফিসে কাজ ফেলে এসেছি....
মা: এখন যাইছ না, ছেলে কে দেখে যা। নাইলে পরের বার নাতনী সহ ছেলের মুখ দেখতে হবে।
মা: তোর ছেলে স্কুলে গেছে, একটু পরেই চলে আসবে।
কুদ্দুস: অফিসে কাজ ফেলে এসেছি....
মা: এখন যাইছ না, ছেলে কে দেখে যা। নাইলে পরের বার নাতনী সহ ছেলের মুখ দেখতে হবে।
No comments:
Post a Comment